এ অংশের কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সভার পর তিনি বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন শ্রদ্বেয় ব্যক্তিত্ব। উনি গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং আমি গণফোরামে একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। স্থবিরতা সৃষ্টি হওয়ায় আমরা ২৬ ডিসেম্বর দলের কাউন্সিল আয়োজন করতে যাচ্ছি। আমাদের প্রত্যাশা উনি এ কাউন্সিলে যোগ দেবেন। ’
মন্টু বলেন, ‘কাউন্সিলররা এ কাউন্সিলে তাদের নেতা নির্বাচন করবে এবং কাউন্সিলররা যদি উনাকে আমাদের (প্রধান) নেতা নির্বাচন করেন তবে বিনা দ্বিধায় আমরা তার কর্মী হিসেবে কাজ করব। উনি যদি এ কাউন্সিলে না আসেন তবে সারা দেশের কাউন্সিলররা বিকল্প নেতৃত্ব ঠিক করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেশে গণতন্ত্র চর্চার কথা বলি আর সেজন্য দলে মধ্যে গণতন্ত্র চর্চার কাজটি শুরু করতে চাই। আমরা আশা করি, ১৯৯৩ সালে ২৯ অগাস্ট গণফোরাম যে আদর্শ ও দর্শন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল সেটা সম্মুন্নত রাখতে আমরা সকলে সম্মিলিতভাবে সম্মেলনের জন্য কাজ করতে চাই।’
অগণতান্ত্রিকভাবে বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক সংগঠনের কাজ আমরা মেনে নিব না, বলেন মন্টু।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সভা ছাড়া দলের সভাপতি, অন্য কোনো ব্যক্তি তিনি যত বড়ই হোক না কেন কাউকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার তার নেই। গঠনতন্ত্রের ১৪ ধারায় বলা আছে, কেবল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাতেই কাউকে বহিষ্কার ও দল থেকে দূরে রাখা সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কমিটির বর্ধিত সভায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া এবং আরও তিনজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা ড. কামাল হোসেনকে বহিষ্কার করিনি। উনিও কাউকে বহিষ্কার করতে পারেন না। আমরা গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলব, নিয়মতান্ত্রিক গঠনতন্ত্রের বাইরে স্বেচ্ছাচারিতার বা কর্তৃত্বাবাদী কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব না।’
সভায় আগামী ১৭ অক্টোবর সারা দেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন এদিন জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সভা ডেকেছেন।
দলটির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া শনিবার ইউএনবিকে জানান, ১৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে আামদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় এ সভা শুরু হবে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি আবু সাইয়িদ এবং সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভা করে আগামী ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের ঘোষণা দেন।
তারা রেজা কিবরিয়াসহ আরও তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারেরও ঘোষণা দেন।
তবে ড. কামাল অবশ্য জানিয়েছেন গণফোরামের নিয়ম অনুযায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ সভার আহ্বান না করায় ওই সভার বৈধতা নেই।